HS Political Science Suggestion 2024 | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা কাকে বলে | ইহার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও

HS Political Science Suggestion

 2024 | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা কাকে বলে ? ইহার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও

সম্পর্কিত সার্চগুলি

এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা আছে এমন একটি রাষ্ট্র হল | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা কোথায় আছে | ভারতে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে কোন রাজ্যে | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দাও | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে যুক্তি দাও |  আইনসভা কি |  বাংলাদেশের আইন সভা কয় কক্ষ বিশিষ্ট |  আইনসভার প্রধান কাজ কি |  দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলতে কি বুঝায় | এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার বিপক্ষে যুক্তি দাও।

ভূমিকা: গঠনগত দিক থেকে আইনসভা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় ।

  •  এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ও
  •  দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা
➡️ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা : যেসব আইন সভার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি মন্ত্রী কক্ষ বা পরিষদ থাকে, তাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে
এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উদাহরণ : তুরস্ক, বুলগেরিয়া, রুমানিয়া ও পানামা প্রভৃতি।

এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা




➡️ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি :
বেন্থাম, লাস্কি, আবেসিয়ে, ফ্রাঙ্কলিন প্রমূখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা স্বপক্ষে নিম্নলিখিত যুক্তি দিয়েছেন -

স্বপক্ষে যুক্তি: এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার স্বপক্ষে যুক্তি গুলি হল -:
1.গণতন্ত্রের অনুপন্থী : আব্রাহাম লিংকনের মতে,

 গণতন্ত্র যেহেতু জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের শাসন
 সেহেতু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনসভা জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হওয়া দরকার। এই দিক থেকে বলা হয় এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা হল গণতন্ত্রের অনুপন্থী। আইন সভার সদস্যরা ব্যাক্তিস্বার্থ বা শ্রেণীস্বার্থ অপেক্ষা জনস্বার্থ রক্ষাকারী প্রাথমিক কর্তব্য মনে করে।
  1. দায়িত্ব নির্ধারণ সহজ : এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা সম্পাদিত কাজের জন্য এককভাবে দায়ী বলে দায়িত্বের সঠিক অবস্থান নির্ণয় সহজ হয় ফলে জনকল্যাণকর আইন প্রণীত হয়।
  2. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব : এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়। দুটি কক্ষ না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অহেতুক সময় অপচয় হয় না।
  3. যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার উপযোগী :একটি যুক্তরাষ্ট্রে দেশের সংবিধান কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে ক্ষমতা বন্টন এর ফলে রাজ্যগুলির স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষিত হয় । সেই জন্য দুটি কক্ষের প্রয়োজন নাই।  ল্যাসকির  মতে,                                           
  1. যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অঙ্গরাজ্য গুলির স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা আছে।


➡️ বিপক্ষে যুক্তি :  লর্ড ব্রাইস,লেকি, জন স্টুয়ার্ট মিল প্রমূখ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সমর্থক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সমালোচনা করেছেন। তাদের যুক্তি গুলি হল -


  1. স্বৈরাচারী আইন প্রণয়ন :  আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট হলে স্বৈরাচারী আইন প্রণীত হতে পারে। উচ্চকক্ষ না থাকায় ক্ষমতাসীন দল নিজেদের খেয়ালখুশিমতো ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী আইন প্রণয়ন করতে পারে।
  2. সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন অসম্ভব : এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ভাবাবেগ, সাময়িক উত্তেজনা কিংবা জনমতের চাপে ও অবিবেচনা মূলক ও জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী আইন প্রণয়ন করতে পারে। লেকির এর মতে,    দ্বিতীয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা, সংস্কার মূলক কর্মসূচি এবং সংযোতকারী ভূমিকা একে অপরিহার্য করে তুলেছে।
  3. সংখ্যালঘুদের স্বার্থের পরিপন্থী :  আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইন সভায় প্রতিনিধি প্রেরণ করতে ব্যর্থ হয়।
  4. আইনসভার উৎকর্ষ হীনতা : আইন সভায় জ্ঞানীগুণী অভিজ্ঞ ব্যক্তি মত বেঁচে থাকবেন, আইনসভার উৎকর্ষতা ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট হলে জ্ঞানী গুনী ব্যক্তিরা নির্বাচনের বিরম্বনা অক্লেশ এড়াতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন না।
  5. মূল্যায়ন : এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি থাকলেও বর্তমান বিশ্বের 50 শতাংশের 112 টি রাষ্ট্র এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা আছে যেমন সর্বাধিক জনসংখ্যা বিশিষ্ট চিন এবং কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট ভ্যাটিকান সিটি।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.